বগলের কালো দাগ দূর করার ৪ ঘরোয়া সমাধান

ত্বকের যত্নে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ সচেতন। সৌন্দর্য্য নিয়েও তারা অনেক বেশি চিন্তাভাবনা করেন। হাল আমলের পোশাক পরতে অনেকে পছন্দ করলেও কিছু সমস্যার কারণে তারা তা এড়িয়ে চলেন। অনেকে স্লিভলেস পোশাক পরতে চাইলেও বগলের নিচের কালো দাগের কারণে লজ্জা পান।

এছাড়া অনেক মানুষ বগলের নিচের কালো দাগ দূর করার ইচ্ছা করেন কিন্তু হাতের কাছে সহজ সমাধান খুঁজে না পাওয়ায় সেই ইচ্ছা পূরণ হয় না। কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মেনে চললে সহজেই এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

চলুন বগলের কালো দাগ দূর করার চারটি ঘরোয় সমস্যার সমাধান জেনে নিই-

আলুর রস ও ভিনিগার: শরীরের যেকোনো দাগ দূর করার ক্ষেত্রে আলুর রস খুবই কার্যকরী। আলু হলো প্রাকৃতিক ব্লিচ ও অ্যান্টিইরিট্যান্ট। শুধু দাগ পরিষ্কারই নয়, দাগের সঙ্গে ত্বকের ওই অংশের চুলকানি বা অস্বস্তিও সারিয়ে তোলে আলুর রস। কয়েক ফালি আলু বেটে তাতে ২ চামচের মতো ভিনিগার মিশিয়ে তা বগলে মিনিট দশেক লাগিয়ে রাখুন। শেভিংয়ের পরে তো বটেই, নিয়মিত সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এই মিশ্রণ বগলে লাগান। কালচে দাগ ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যাবে সহজেই।

লেবু ও চিনি: লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে। লেবুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দাগ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। শেভিংয়ের পর ত্বকের ওই অংশ লেবুর রস দিয়ে মিনিট পাঁচেক ভিজিয়ে রাখুন। এর সঙ্গেই প্রতিদিন স্নানের সময় লেবুর রস লাগান শেভিংয়ের জায়গায়। সহজেই ত্বকের কালচে দাগ মিলিয়ে যাবে। আরও ভাল ফল পেতে লেবুর সঙ্গে চিনি মেশান। চিনি গলে না যাওয়া অবধি ঘষুন।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: শেভিংয়ের পর অ্যাপেল সিডার ভিনিগার তুলো দিয়ে মিনিট পাঁচেক বগলে ভিজিয়ে রাখুন। সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন এভাবে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার লাগালে সহজেই বগলের কালচে দাগ দূর হয়ে যাবে।

অলিভ অয়েল: দু’চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক চামচ লাল চিনি মেশান। সপ্তাহে তিন দিন এই মিশ্রণ বগলে লাগালে সহজেই ওই অংশের ত্বকের কালচে দাগ ফিকে হয়ে মিলিয়ে যাবে।